Logo

আন্তর্জাতিক    >>   সিরিয়ায় ইসরাইলের সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা

সিরিয়ায় ইসরাইলের সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা

সিরিয়ায় ইসরাইলের সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার কৌশলগত এলাকাগুলোতে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সিরিয়ার একটি সম্মেলনে অংশ নিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে হারমন পাহাড় পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি জানান, ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) সেনারা গোলান মালভূমিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অবস্থান করবে।

নেতানিয়াহু বলেন, "গত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে ইসরাইলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রধান দায়িত্ব ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং এজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"

এই ঘোষণার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী অধিকৃত গোলান মালভূমির বাফার জোনে সামরিক অভিযানের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ইসরাইলি বাহিনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েনের উদ্যোগ নিয়েছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশটির সেনারা নতুন পরিচয়পত্র সংগ্রহে কাজ করছে। লাতাকিয়া শহরে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক পরিচয়ে চলাফেরার জন্য একটি অন্তর্বর্তী পরিচয়পত্র সংগ্রহে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ত্র জমা দেয়ার পর এসব সেনাদের তিন মাসের জন্য পরিচয়পত্র দেয়া হবে।

সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জাতিসংঘ নতুন করে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে। গৃহযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল সিরিয়ায় প্রবেশের পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সিরিয়ার নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, গত তিন সপ্তাহে লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই আবার ফিরে এসেছেন। তবে এই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন মানবিক সংকট সমাধানের ইঙ্গিত নয়। দেশটিতে এখনও খাদ্য ও আশ্রয় সংকট প্রকট আকারে বিরাজ করছে।

ইসরাইলের সেনা উপস্থিতি এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকট এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।